কোনও মহাপুরুষের জীবনী যখনই লেখা হয়, তখন খুঁজে-খুঁজে বের করা হয়, তাঁর জীবন ঘিরে কী কী অলৌকিক ঘটনা আছে। যত বেশি অলৌকিক ঘটনা ততই তিনি বিরাট মহাপুরুষ! যারা সাধনভজন করেন, তাঁদের একটিই মাত্র উদ্দেশ্য ঈশ্বর লাভ।…ত্রৈলঙ্গ মহারাজ বারাণসীর ভৈরব।…তাঁর সম্পর্কে যা লেখা হয়েছে, সব লেখাতেই তাঁর অলৌকিকত্ব প্রাধান্য পেয়েছে।… এই জীবনীতে অপূর্ব অনেক পরিশ্রম করে ত্রৈলঙ্গ মহারাজের সাধনার দিকটি দেখাবার চেষ্টা করেছেন। তিনি কী সাধন করেছিলেন? সচল বিশ্বনাথ এই বিশেষণটি দিয়ে কিস্তিমাত করা যায় না। অপূর্ব তাঁর পারিবারিক জীবনের কথা বলেছেন। তাঁর জীবন ঈশ্বর পরিচালিত।…তিনি কি সাধন করেছিলেন, তা জানতে হলে তাঁর প্রিয় শিষ্য উমাচরণ মুখোপাধ্যায়কে যে শাস্ত্রটি তৈরি করে দিয়ে গিয়েছিলেন, যার নাম ‘মহাকাব্য রত্নাবলী’…পড়তে হবে। লেখক কতটা পরিশ্রম করেছেন, তা পাঠ করলেই পাঠকগণ বুঝতে পারবেন। ভারতবর্ষের সাধন-বৈচিত্র্যের হিমালয় ত্রৈলঙ্গস্বামী। অপূর্বর এই প্রয়াস শুধু সাহিত্য নয়, সাধনা।’ – সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়। অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন ত্রৈলঙ্গস্বামীর জীবনী, সংকলন করেছেন দুষ্প্রাপ্য ‘মহাকাব্য রত্নাবলী’ এবং ‘তত্ত্ববোধ’। সর্বঅর্থেই এই গ্রন্থ ত্রৈলঙ্গস্বামী সমগ্র।
[Source: Patra Bharati]
Reviews
There are no reviews yet.