“আধুনিক যুগে অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক হানাহানির মধ্যে যে দুর্দমনীয় যুদ্ধকৌশল যোদ্ধাদের উদ্বুদ্ধ করে, বিভিন্ন মোটিভেশনাল থিওরির প্রয়োগ আর মানুষকে ভয় দেখিয়ে কাজ হাসিল করার পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়— তার মধ্যে ‘অ্যাসাসিনেশন’ অন্যতম। অ্যাসাসিনেশন একধরনের যুদ্ধবিজ্ঞান যা কম খরচে বেশি ইমপ্যাক্ট ফেলে। সভ্য সমাজে নিন্দনীয় হলেও এই যুদ্ধশৈলীর প্রমাণ রামায়ণমহাভারতেও পাওয়া গেছে। রামচন্দ্রের বালি হত্যা, লক্ষ্মণের নিকুম্ভিলা যজ্ঞগৃহে মেঘনাদ বধ, কিংবা রাতের অন্ধকারে কৃপাচার্য আর কৃতবর্মার সঙ্গে অশ্বত্থামার পাণ্ডবশিবিরে প্রবেশ করে দ্রৌপদীর পাঁচ ঘুমন্ত পুত্রকে হত্যার গল্প আমাদের দেশের মহাকাব্যের রেকর্ডেই আছে। সমস্ত বিশ্বে আমরা যতই আধুনিকতার দামামা বাজিয়ে থাকি না কেন, দেশে জাতিতে ধর্মেযুদ্ধ, হানাহানি, গুপ্তহত্যা, আচমকা আক্রমণ— এগুলো থাকবেই। মানুষের সমাজে যেমন গণতন্ত্রসমাজতন্ত্ররাজতন্ত্র বর্তমান, তেমনি মুখোমুখি যুদ্ধ, গেরিলা যুদ্ধ, গোপন হামলাও অতি বাস্তব। এই বই বেশ কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, রাষ্ট্রপ্রধান, মিলিটারি কম্যান্ডারদের উপরে যে গোপন প্রাণঘাতী হামলা হয়েছে তাই নিয়ে লেখা। এই ধরনের ব্যক্তিদের সিকিউরিটির পেছনে প্রচুর অর্থ, অস্ত্র, ট্রেনিং আর ম্যানপাওয়ার খরচ হয়। তবুও হামলা হয় এবং প্রোটেক্টেড ব্যক্তি পর্যন্ত হামলাকারি পৌঁছে যায়। তাই হামলার গল্পের সঙ্গে অবশ্যই থাকছে সেই সব হামলার পেছনে সিকিউরিটি ফেলিয়োর এবং তার কারণ অনুসন্ধান। হামলা কোথা থেকে আসবে, কে বা কারা করবে তা জানা থাকে না। তবে হামলা হবে এটা নিশ্চিত। বিগত পঞ্চাশ বছরে বিশ্বে ঘটে যাওয়া প্রথাগত যুদ্ধের বাইরে নিয়ম বহির্ভুত হামলার ১৩টি গল্প নিয়ে এই বই। এই বই সন্ধান দেবে কিভাবে সিকিউরিটির ঘেরাটোপ উতরে কে বা কারা সেই হামলা করেছে। ”
[Source: Boibondhu Publications]






Reviews
There are no reviews yet.