‘পঞ্চশরের একটি কম’ গল্পের আদি-অন্ত ছেয়ে আছে একটি মিষ্টি প্রেমের আবহে। প্রথমাকে ভালবাসতে চায় আলোকচিত্রী প্রীতম। তার কাছে খবর আছে মায়ের সঙ্গে সে বেড়াতে গেছে ঝাড়গ্রামের কাছে চিলকিগড়ে। সেখানে শোভন রায়ও গেছে। এই লোকটি জুনের সঙ্গে ভাব জমাতে চায়। প্রীতম ওর বন্ধু নীললোহিতকে বলে মেলামেশা কতদূর গড়িয়েছে দেখার জন্য। সেখানে গিয়ে আশ্চর্য সব ঘটনার মুখোমুখি হল নীললোহিত। তারপর?‘গভীর রাতে দিঘির ধারে’ উপন্যাসের কাহিনি জুড়ে এক আধিভৌতিক বাতাবরণ। ঝরনামাসি, রবীনমেসো আর ওঁদের ছেলেমেয়ে টিনা এবং রণের সঙ্গে নীললোহিত বেড়াতে এসেছে পাড়া ভোলানাথপুরে। এখানে রবীনমেসোর পূর্বপুরুষদের বিশালবাড়ি। ওরা আসার পর থেকেই বাড়িটায় ঘটতে থাকে নানা ভৌতিক কাণ্ড। চূড়ান্ত দুর্বিপাক ঘটে বাড়ির পুকুরে একটি মেয়ের আত্মহত্যার ঘটনায়। নীললোহিত আবিষ্কার করে এক গভীর রাতে পাশের গ্রামের এক পুকুরের দিকে এগিয়ে চলেছে ঝরনামাসি। কিন্তু কেন?ডায়মন্ড হারবারের কাছে এক নির্জন গ্রামে, একটি বাড়ির তিনতলায়, নীললোহিত চকিতে দেখে ফেলল রুমাবউদিকে। ভদ্রমহিলা এখানে কেন? একটি কচ্ছপ চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নীললোহিত ঢুকে পড়ল সেই রহস্যময় বাড়িতে। রুমা বউদির সঙ্গে আবার দেখা হয়ে গেল। কিন্তু এ কোন রুমা বউদি? মহাভারতের কুন্তীর মতো তার এই গোপন ভুবনের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে নীললোহিত হতবাক। নীলুর ভূমিকা সেই মুহূর্তে কর্ণের মতো কি?
[Source: Ananda Publishers]
Reviews
There are no reviews yet.