ঠাকুরবাড়ি নিয়ে গল্পের মালা। মিথ্যে বানাবো গল্প নয়, যোলোম্মানা সত্যি। কত ধরনের ঘটনা, কোনোটি আনন্দ-মুখের, আবার কোনোটি বা দুঃখ-বিয্যদের। ‘নোবেল’ আপ্তির পর সংবর্ধনা সভায় রবীন্দ্রনাথ ক্ষোত-কেনা উগরে দিয়েছিলেন। নৌকো উল্টে সত্যেন্দ্রনাথের আই.সি.এস, পড়তে যাওয়াই বানচাল হতে বসেছিল। বাড়ির কাজের লোককে সম্পত্তির অধিকার দিতে দ্বিজেন্দ্রনাথ পাল্টে ছিলেন বলিল। কন্যা-বিয়োগের বেদনা ছবির মধ্যে মিশিয়ে দিয়েছিলেন অবনীন্দ্রনাথ। গায়ের জামা উড়বে বলে ফিতে দিয়ে বেঁধে রাখতেন দ্বিজেন্দ্রনাথ। ঠাকুরবাড়িতে পোশাকচাশাক দিয়েও চলেছে ভাবনাচিন্তা। রসনা-পরিতৃপ্তির দেদার ব্যবস্থা ছিল। রাখা হয়েছিল ফরাসি-পাচক। এ বইতে রয়েছে এরকম বিস্ময় জাগানো কত না খালা, ঘটনার বর্ণনা। ইংরেজদের চোখে রবীন্দ্রনাথ ছিলেন ‘দাগী আসামী’। সেই আসামি-নিবাসে, (জাড়াসাঁকোর এসে লাউনরহেব খেতেন আাজা টিঁড়ের সঙ্গে কড়াইগুটি। সত্যি, এসব ভাবা যায় না। রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে রয়েছে কত না নিচিত্র আপ্যান। সংসার-পরিজনের কাছে যিনি প্রতিমুহূর্তেই দায়বদ্ধ থেকেছেন, তাঁকে নিয়ে কদাকার গল্পকথার শেষ নেই। রানুকে নিয়ে কত ইদিতমা কথাবাতী। রাণুর সঙ্গে তবীন্দ্রনাথের প্রথম দেখা হয়েছিল মাধুরীলতার মৃত্যুর দিন। বাণুই জানিয়েছেন, ‘অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া নিষ্পন্ন করে এক ভিখারীর মত তিনি আমাদের গৃহের সামনে এসে পড়িয়ে ডাকছিলেন রাণু, রাণু কোথায় গেলে।এরপরও কি বানানো গল্প, মিধ্যে রটনা চলতেই থাকবে
[Source: Deep Prakashan]






Reviews
There are no reviews yet.