আজ থেকে আঠেরোশো বছর আগে চোলমণ্ডলের পুষ্পহার নগরীতে বাস করত বণিকপুত্র কোভালন, তার পরিণীতা কন্নকী ও প্রণয়িনী মাধবী। তাদের সম্পর্কের উত্থানপতনকে প্রাথমিকভাবে আশ্রয় করে কল্পনা ও বাস্তববোধ, স্বপ্ন ও জাগরণ, ব্যষ্টি ও সমষ্টিজীবনের চিরায়ত দ্বন্দু এবং সেই দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়েই মানুষের চিরকালীন পথান্বেষণ এ উপন্যাসের মর্মবস্তু হয়ে উঠেছে। তামিল মহাকাব্য ‘শিলল্পদিকরম’এর আখ্যানরেখাকে অনুসরণ করেও অতীতকালের দর্পণে আমাদের সমকালকেই প্রতিবিম্বিত করতে চেয়েছে এ উপন্যাস। এই দ্বন্দ্বসমাকুল জীবনের দুর্গম বনপথের মধ্য দিয়ে কোভালন, কন্নকী, কাভুন্দির মতোই অধুনাতন কালের আমরাও কোনো এক আশাশীল প্রত্যয়ের মাদুরাই নগরীর দিকেই যাত্রা করেছি। সেখানে উপনীত হয়ে আমাদের স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেলেও আবার ফিনিক্স পাখির মতো আমরা জেগে উঠেছি প্রণয়কাবেরীর তটভূমিকায়। এই বিশিষ্ট অর্থেই ‘মূর্ছিত নূপুর’ প্রকৃতপক্ষে আবহমানের শরীরে সাম্প্রতিকের হৃৎস্পন্দন।
[Source: Dhansere Publication]






Reviews
There are no reviews yet.