লালুদের হেডস্যার ওদের স্কুলে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন জীবন থাকতে এই পতাকা কাউকে নামাতে দেবেন না।
যুদ্ধের শুরুর দিকে লালুদের স্কুলে মুক্তিবাহিনীর ট্রেনিং সেন্টার ছিল। কিন্তু দিনে দিনে যখন পাক হানাদাররা গ্রামের দিকে এগোতে থাকে তখন মুক্তিবাহিনীরা সরে যায়। অরক্ষিত হয়ে পড়ে স্কুলের স্বাধীনবাংলার পতাকা।
হেডস্যার স্কুলের পতাকা পাহারা দেয়া শুরু করলেন। হেডস্যারের সঙ্গে লালুরাও। ওরা ঠিক করল স্কুলের পতাকাটাকে যেকোনো উপায়ে রক্ষা করতে হবে। হানাদারবাহিনীর হাত থেকে কিভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকাকে রক্ষা করবে তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে নানারকম পরিকল্পনা সাজায় তারা। আর তাদের সেই পরিকল্পনার বড় অংশ জুড়ে থাকে লালুর পোষা বানর বাহাদুর।
লালুদের প্রস্তুতি পর্বের মধ্যে একদিন ঠিক ঠিক কুসুমপুর গ্রামে পাক মিলিটারি এসে উপস্থিত হয়। গ্রামে ঢুকেই রাজাকার ইদ্রিস মোল্লার পরামর্শে লালুদের হেডস্যারকে হত্যা করে তারা। জ্বালিয়ে দিতে থাকে মানুষের ঘর-বাড়ি, সামনে যা পায় সবকিছু।
লালুরা তবু মনোবল হারায় না। হেডস্যারকে বাঁচাতে না পারলেও তারা স্যারের স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখার শপথ নেয়। যেভাবেই হোক বাংলাদেশের পতাকাকে রক্ষা করবে তারা।
ক্লাস সেভেনের একদল ছেলে আর বাহাদুর নামের একটি বানর মুখোমুখি হয় পাক-হায়েনার।
তারা কি শেষ পর্যন্ত সফল হয়?
[Source: Kotha Prokash]






Reviews
There are no reviews yet.