পশ্চিমবাংলার প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ড – একসময়ের রাঢ় অঞ্চল। কালের গতিতে বিহার এবং পরে ঝাড়খণ্ড নামে পরিচিত হলেও এই রাজ্যের সঙ্গে বাঙালির পরিচয় আদানপ্রদান চলছে বহু যুগ ধরে। বাঙালিদের একাংশ এখানে বসতি স্থাপন করেছেন, আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন এলাকার আদিবাসী মানুষের সঙ্গে। এই কারণেই বোধহয় এখানে বাঙালি-আদিবাসী সংঘাত হয়নি, বরং বাঙালিরা আদিবাসী মানুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কখন পৃথক রাজ্যে ঝাড়খন্ড,কখনো-বা একসঙ্গেই শোষণহীন ঝাড়খণ্ডের লড়াইয়ে শামিল হয়েছেন। কালের নিয়মে ‘ উন্নয়নের’ স্ট্রিমরোলারার তলায় এখন চাপা পড়ে গেছে আদিবাসী মানুষের দীর্ঘশ্বাস । ঝাঁ চকচকে মল, ফ্লাইওভার বা জঙ্গলের বুক চিরে সড়ক আদিবাসীদেরই বে – ঘর করেছে। লেখিকার লেখনীতে সাতাশটি অধ্যায় এই স্থানীয় প্রান্তিক মানুষের জীবনচর্চার আখ্যান শুধু নয়, পাঠককে ভাবাবে ‘উন্নয়নের’ প্রচারসর্বস্ব কাঠামোকে।সবুজ ধ্বংসের এই উন্মাদনা সমগ্র সভ্যতাকে প্রশ্নের মুখে এনেছে।লাল , শাল- সেগুনের পাতার শিরশিরানি আর প্রতিরোধের মিছিল – আগামীতে হাত ধরেই কি পার হবে এই বিষের বিষাদসিন্ধু!
[Source: Setu Prakashani]
Reviews
There are no reviews yet.