‘কালো হরিণ’ উপন্যাসটি এই একবিংশ শতকের আধুনিকতার চোখ ধাঁধানো ঔজ্জ্বল্যের মোড়কে ঢাকা সমাজের কলুষিত, অন্ধকার দিকের এক বাস্তব পটচিত্র। উপন্যাসের বিষয়বস্তু চয়নে অধুনাতন মনুষ্য সমাজকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। মানুষের মনের সদর্থক ও নঞর্থক এই দু’টি দিকই এই উপন্যাসের আলোচ্য বিষয়। জন্মগতভাবে মানুষ দুটি সত্ত্বার অধিকারী। একটি পাশবিক সত্ত্বা অপরটি মানবিক সত্ত্বা। পাশবিক সত্ত্বাকে পরাভূত করে মানবীয় সত্ত্বার বিকাশ ঘটিয়ে মানুষ তার মনুষ্যত্বের পরিচয় দেবে এটাই কাম্য। কিন্তু আজকাল মানুষ ক্রমশ হারিয়ে ফেলছে তার মানবীয় মূল্যবোধ। অহরহ অনেক ঘটনাই ঘটছে যা কখনোই অভিপ্রেত নয়। এই উপন্যাসে বিভিন্ন আঙ্গিকে বিভিন্ন সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষাপটেই ধরা দিয়েছে, চিত্রিত হয়েছে চিরাচরিত অন্ধ সমাজ ব্যবস্থা ও তার সঙ্কীর্ণতার বিরুদ্ধে এক মা ও মেয়ের মরণপণ লড়াই। একাধারে অকৃত্রিম ভালোবাসা ও সীমাহীন ঘৃণার অনন্য দৃষ্টান্ত এই উপন্যাস। এর প্রতিটি চরিত্র আমার আপনার খুবই পরিচিত পাশের বাড়ির ছেলেটি বা মেয়েটির মতই অতি সাধারণ, অথচ স্বীয় ঔজ্জ্বল্যে সমুজ্জ্বল, যারা সহজেই পাঠক বর্গের চিত্তপটে তাদের স্থান করে নেবে।
[Source: Boibondhu Publications]






Reviews
There are no reviews yet.