ভগবানই সৃষ্টিকর্তা। এইরকমই প্রচলিত ভাবনা। মানুষ বারেবারে আসে, এইরকমই হিন্দু বিশ্বাস। জাতিস্মর—স্মরণ করতে পারেন অতীত জন্ম। সেসব কথা আলাদা, আসল কথা হল, ভগবানকে যদি কোনওভাবে সামনে পাওয়া যায়, তাহলে প্রশ্ন করে দেখা যেতে পারে, কেন কেউ জন্মায় সোনার চামচ মুখে নিয়ে, আর কেউ জন্মায় ফুটপাথে। নিজের ইচ্ছায়, আগে থেকে বার্থ রিজার্ভ করে কেউ তো পৃথিবীতে আসতে পারে না। এসে যায়। তারপর? সেও এক অনিশ্চয়তা। এমনও তো হতে পারে মা সদ্যোজাত অবাঞ্ছিত শিশুটিকে পলিথিনে মুড়ে ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে গেল। এমনও তো হতে পারে জ্ঞান হবার আগেই অনাথ হতে হল। এমনও তো হতে পারে, জন্ম হল বিশাল বড়লোকের ঘরে; কিন্তু বাপ, মা যে যার নিজের জগতে ঘোরে, খবরই রাখে না ছেলে মানুষ হচ্ছে কার কোলে। এমনও তো হতে পারে, জন্ম হল কোনও দৈহিক অক্ষমতা নিয়ে। সারাটা জীবন লড়াই করে যেতে হল অক্ষম দেহ নিয়ে অনিশ্চিত এই পৃথিবীর সঙ্গে। মানুষের এই জীবন দম্ভের উত্তর কি? ভাগ্য যখন ধরে আছে জীবনের অদৃশ্য সুতো, তখন আমরা কার পুতুল! তবু এই মায়া-জগতের কি আশ্চর্য আকর্ষণ। আমরা যেতে কাঁদি, আমরা আসতে কাঁদি। ফিরে ফিরে আসি কত কাঁদি হাসি! এই উপন্যাস যেন এক অভিনব জাতক কাহিনী।
[Source: Ananda Publishers]
Reviews
There are no reviews yet.