তপনজ্যোতি বড় মেয়ে পৃথাকে অন্যরকমভাবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। পৃথা রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র, বিভূতিভূষণের ভাবজগতে থাকতে ভালবাসে। তপনজ্যোতির পূর্ণ মত না থাকলেও অল্প বয়সে পৃথার বিয়ে হয়ে যায় শিলচরে। স্বামী প্রণবকুমার এয়ারফোর্সের কর্মী, পুণেয় থাকে। বিয়ের পর আচমকা এক সংস্কারগ্রস্ত পরিবারে গিয়ে বড় মুশকিলে পড়ে পৃথা। বাবা তাকে শিখিয়েছিলেন রবীন্দ্রসংগীতই ধর্মগ্রন্থ। কিন্তু তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন যে সাহিত্যসংগীতের সঙ্গে সম্পর্কহীন। স্থূলরুচির স্বামী প্রণবকুমার যেন শরীরসর্বস্ব জন্তু। অল্প কয়েকদিনেই প্রণবকুমার পৃথাকে দুমড়েমুচড়ে দিয়ে কর্মক্ষেত্রে ফিরে যায়। স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার অবসাদ নিয়েই গর্ভবতী হয় পৃথা। শ্বশুরবাড়ির অযত্নে মরণাপন্ন হয় সে, তার বাবা-মা কোনও খবরই পায় না। নানা ঘটনার পর পিতৃগৃহে তার প্রসব হলেও সন্তানকে স্বাভাবিক মায়ের মতো কাছে নিতে পারে না সে। বই আর গানের ভুবনে স্বেচ্ছাবন্দি পৃথার জীবন ছুটে চলে আরও নিষ্ঠুর সত্যের দিকে। সমরেশ মজুমদারের ছায়ার শরীর উপন্যাসটি এক সংবেদনশীল মেয়ের বিষাদময় জীবনের কথকতা।
[Source: Ananda Publishers]






Reviews
There are no reviews yet.