ভাসানবাড়ি — আজ থেকে দুশো বছর আগে এক জ্যোতির্বিজ্ঞানীর তৈরি এক রহস্যময় স্থাপত্য। তার আগে একটা পুকুর ছিল এখানে। গোটা গ্রামের লোক ঠাকুর বিসর্জন দিত তাতে। সেটাকে বলা হত ভাসানপুকুর, সেখান থেকে ভাসানবাড়ি। লোকে বলে সেই পুকুরটার আত্মা এই বাড়ির ভিতরেও সঞ্চারিত হয়েছে। এই বাড়িটাও মানুষকে ভাসিয়ে নিয়ে যায় অন্তিমের দিকে। ভাসানের দিকে… কিন্তু সত্যি অন্তিম বলে কিছু হয় কি? কে বলতে পারে মাটি গলে, রঙ উঠে গিয়ে নদীর অপরপ্রান্তে যখন খড়ের কাঠামোটা পৌছায়, তখন কেউ অপেক্ষা করে না তার জন্য? কেউ আবার নিজের মতো করে সাজিয়ে নেয় না তাকে? মরে যাবার আগে শশাঙ্কমোহন বলেছিলেন হ্যালির ধূমকেতুর মতো এই বাড়িতেও নির্দিষ্ট সময় পরে ফিরে ফিরে আসে কোনো মানুষ। কে সে? এ বাড়ির ছাদ থেকে দেখা যায় অচেনা আকাশ, সত্যি কি সময়ের নিয়ম মানে না বাড়িটা? কিন্তু কীভাবে? রহস্য আর সময়ের চাদর মুখে টেনে কাদের অপেক্ষায় থাকে ভাসান বাড়ি?
[Source: Biva Publication]






Reviews
There are no reviews yet.