জীবনের সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে মানুষ পরিতৃপ্তির শীর্ষদেশে পৌঁছতে চায়। মানুষ বিশ্বাস করে সোপানের শেষে আছে অশেষ প্রাচুর্য, অবিচ্ছিন্ন আনন্দ, সুখ। অথচ একটু অসতর্ক হলেই সিঁড়ি-ভাঙার-খেলা হয়ে ওঠে অনিবার্য পতনের অনতিক্রম্য পরিণতি। অনুরাধা চেয়েছিল বহুতল বাড়ির ওপর থেকে পৃথিবী দেখবে। দেখবে পুতুলের মতো মানুষের অণুপ্রতিমা। অনুরাধার স্বামী চন্দন রায়চৌধুরী এমন এক সরকারি চাকুরে যেখানে উৎকোচের পয়সায় ভরে ওঠে ঘর, প্রাচুর্যের প্রাবল্যে হতচকিত হয়ে যায় আশপাশের লোকজন। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী আত্মজ সৌভিককে ঘিরে অনুরাধার আর এক স্বপ্ন। কিন্তু নববর্ষের প্রথম দিনে পার্ক স্ট্রিটের শীলা সেনের ফ্ল্যাটে মদ, মাছভাজা আর নারীদেহের স্বাদ নিতে গিয়ে চন্দন পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। ঘটনাটাকে চাপা দেওয়ার জন্যে একটার পর একটা মিথ্যের পাহাড় গড়ে তুলতে হয় চন্দনকে। তবু পাহাড়গুলোয় এক সময় ধস নামে। শুরু হয়ে যায় জীবনের ল্যান্ডস্লাইড। সুচিত্রা ভট্টাচার্য দৈনন্দিনের বিস্তীর্ণ পটে তাঁর মরমী কলমে এঁকেছেন আলোহীন ভোরের চিত্রার্পিত বিষাদলগ্ন।
[Source: Ananda Publishers]






Reviews
There are no reviews yet.