“ইষ্টার্ন ফ্রন্টে দশ দিনের ব্লিৎসক্রিগের পরে কী হলো? ঘটনা তো এত সহজে থামবার নয়। প্রায় এক কোটি লোকের অন্তহীন লড়াই, চেনা-অচেনা কম্যান্ডার, পড়া অথবা না-পড়া একগুচ্ছ সেনা ডাইরি, জার্মান ডাক্তারের কলম– কোন অজানা ঘটনার কথা জানায়? অপারেশন বারবারোসা, অর্থাৎ– জার্মান-রুশ সংগ্রামের দ্বিতীয় অধ্যায়ের প্রথম দফাতে আপনাকে স্বাগত। এবারের গল্প মূলত– সেন্ট্রাল রাশিয়া বরাবর, মস্কোর দিকে এগিয়ে যাওয়া জার্মান বাহিনী আর উল্টো দিকে থাকা লাল ফৌজের যোদ্ধাদের বীরকাহিনী; বইয়ের পাতায় থাকা তাদের মহাজাগতিক লড়াইকে এক ঝলকে গল্প মনে হলেও, আসলে তা কঠোর বাস্তবকে বারবার ছুঁয়ে যায়; রক্তাক্ত ইতিহাসকে স্মরণ করায়। ১০ জুলাই তারিখে, ভোরের আলো ভালো ভাবে ফোটার আগেই জার্মানদের বিভিন্ন প্যাঞ্জার আর মোটরাইজড ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশন, নীপার আর পশ্চিম ভীনা নদী অতিক্রম করতে থাকে। মূল লক্ষ্য: সোভিয়েত ইউনিয়নের রাজধানী মস্কো। শুরুর দিকে যেভাবে লড়াই হচ্ছিল, তাতে জার্মানদের মস্কো দখলের স্বপ্ন খুব বেশি দুর্জ্ঞেয় কোনো সমীকরণ ছিল না। কিন্তু বাস্তবের মাটিতে জার্মান বাহিনী কী খুঁজে পায়? বইয়ের বিভিন্ন পাতায়; সোভিয়েত কাতিয়ুশা, ডাইভ দিয়ে আকাশ থেকে নেমে আসা জার্মানদের স্টুকা যুদ্ধ বিমান; কমিসার অর্ডার বনাম অর্ডার-২৭০, জার্মান-প্যাঞ্জার বনাম রাশিয়ান টি-৩৪; রাশিয়ান স্নাইপার বনাম জার্মান শার্প শ্যুটার; ল্যান্ডসার বনাম আইভ্যান– সব ছড়িয়ে রয়েছে। লড়াইয়ের যেন শেষ নেই! যন্ত্রের বিরুদ্ধে যন্ত্রের এই প্রাণঘাতী যুদ্ধ– কাগজে থাকা তত্ত্বকে বাস্তবের মাটিতে প্রমাণ করার লড়াই। কখনো সেই লড়াই– যুযুধান দুই আর্মি ডকট্রিনের; কখনো বা পরস্পর বিরোধী মিলিটারি আর্টের, অথবা মুহূর্তের ভগ্নাংশের ফারাকে করা আগাম আন্দাজের। ফ্যুয়েরার আর দ্য-বস– দু’জনই গোটা গল্পের মুখ্য চরিত্র। তাঁদের প্রতিটি কাজ, সিদ্ধান্ত আর অদৃশ্য অক্ষ মেনে চলতে থাকা, চূড়ান্ত নার্ভের লড়াইকে জানতে হলে, পড়তেই হবে এই অসামান্য বাস্তব রূপকথা।”
[Source: Boibondhu Publications]






Reviews
There are no reviews yet.