ধাঁধা মূলত একটি জিজ্ঞাসা। ধাঁধার বিষয়বস্তু একটি গভীর চিন্তা। লোকচিন্তার আলো ছড়াতে তার বিশেষ ভূমিকা আছে। তবে প্রধানত লোকসাহিত্যের অন্তর্গত হলেও ধাঁধার মধ্যে সমাজের সমস্ত স্তরই প্রতিফলিত। জীবনের অফুরান অভিজ্ঞতা, রসিক মন, বাকচাতুর্য থেকে উঠে এসেছে অজস্র ধাঁধা, অসংখ্য হেঁয়ালি। ধাঁধার বাহন মূলত ছড়া। সাংকেতিকতা ধাঁধাকে প্রাণবন্ত করে। অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, ‘ধাঁধার বিশেষ কোনো দেশ-কালের সীমা নেই, বুদ্ধি-বিবেচনা ও অভিজ্ঞতার সমবায়ে যে ধাঁধাগুলি গড়ে ওঠে তা সমস্ত সমাজের সম্পত্তি, কোনো ব্যক্তিবিশেষ এর রচনাকার নন।’ শীলা বসাকের পরিশ্রমী গবেষণা-গ্রন্থ ‘বাংলা ধাঁধা: বিষয়বৈচিত্র্য ও সামাজিক পরিচয়’। নানা বিষয়ের ধাঁধা এখানে সংকলিত। ধঁাধা সম্পর্কিত নানা আলোচনার সঙ্গে আছে পশ্চিমবঙ্গের দুই ২৪ পরগনা, বীরভূম, বাঁকুড়া, নদীয়া সহ নানা জেলা এবং বাংলাদেশের ঢাকা, কুমিল্লা, নোয়াখালি, যশোর, খুলনা সহ বিবিধ অঞ্চলের ক্ষেত্র-সমীক্ষা। ধাঁধার নির্মল হাস্যরস ছুঁয়ে অনুভব করা যায় বাঙালি জীবনের চালচিত্র।
[Source: Ananda Publishers]
Reviews
There are no reviews yet.