‘পুত্র, এটা কি সেই কোহিনূর, যা আলাউদ্দিন খিলজি ভারতে এনেছিলেন? হ্যাঁ আব্বা। আপনি হাতে নিলে আমি খুশি হবো। সম্রাট বাবর হীরকখণ্ড হাতে নিলেন। মুগ্ধচোখে কিছুক্ষণ দেখলেন। তারপর বললেন, পুত্র, তোমার উপহার পেয়ে আমি খুশি হয়েছি। এতই খুশি হয়েছি যে, এই কোহিনূর তোমাকেই আমি উপহার হিসেবে দিচ্ছি। বাবর লক্ষ করলেন, হুমায়ুনের চোখ ছলছল করছে। এ কী! এত অল্পতে তাঁর ছেলের চোখে পানি আসছে কেন? সে তো আগামী দিনে ভারতবর্ষ শাসন করবে। তাকে কুর্নিশ করে রাজদূতরা বলবে, বাদশাহ নামদার। তাকে হতে হবে ইস্পাতের মতো কঠিন। সম্রাটের ভ্রু কুঞ্চিত হলো। তিনি উঁচুগলায় বললেন, পুত্র, শুধু এই কোহিনূর নয়, ইব্রাহিম লোদীর রাজকোষের সম্পূর্ণ অর্থ তোমাকে আমি উপহার দিলাম। বলো, মারহাবা!… কিন্তু এর চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে অদ্ভুত কাণ্ড ঘটল। সেনাবাহিনী নিয়ে পুত্র হুমায়ূন দিল্লির কোষাগার দখল করে রাজকোষের সব অর্থ নিয়ে পালিয়ে গেলেন বাদাশানের দিকে!… তারপর?… মোঘল ইতিহাসের এক রহস্যময় চরিত্র বাদশাহ হুমায়ুন কে নিয়ে ঘটনার ঘনঘটায় আলোড়িত অসামান্য উপন্যাস ‘বাদশাহ নামদার’, লিখেছেন অপার বাংলার অন্যতম কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদ।
[Source: Patra Bharati]
Reviews
There are no reviews yet.