সমাজসেবিকা নিবেদিতা তাঁর সুহাসিনী ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। ওঁর স্বামী আর্য সবসময় মগ্ন বইপড়ায় আর পানীয়তে। ঘরজামাই বলে এই গুহায়িত মানুষটি সারাজীবন সংকুচিত হয়ে আছেন। নিবেদিতার বড় ছেলে অনিন্দ্য সদ্যবিবাহিতা স্ত্রী শরণ্যাকে নিয়ে হনিমুন করতে গেল দার্জিলিং-এ। মধুযামিনীর কয়েকটি দিন শরণ্যার তেমন ভাল লাগল না। বরং সে আবিষ্কার করল অনিন্দ্য সব ব্যাপারে ভয়ানক উদাসীন। নাকি হৃদয়হীন! সুনন্দ, নিবেদিতার ছোট ছেলে, বহুদিন বাড়ি ছাড়া। সম্রান্ত এই পরিবারের সব সদস্যই যেন এক একটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ— বন্ধনহীন, শিথিল, সম্পর্কশূন্য। এরই মধ্যে নিবেদিতার সুহাসিনী সমিতিতে শুরু হয়ে গেল তাঁকে ক্ষমতাহীন করে দেবার চক্রান্ত। অনিন্দ্যর বিচিত্র মানসিকতা, সে সন্তান চায় না। সন্তানসম্ভবা হলেও সেই সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে গেল শরণ্যার। এর পিছনে কি ছিল অনিন্দ্যর অদৃশ্য হাত? এই ঘটনার অনিবার্য পরিণতি হল দুজনের বিবাহ-বিচ্ছেদ। মানসিকভাবে রিক্তা শরণ্যা আশ্রয় পেল তারই একদা সহপাঠী শুভ্রর কাছে। কিন্তু ঠুলি পরা চোখে এক বজ্ঞা দৌড়ে নিবেদিতা এ কোথায় এসে পৌঁছলেন? সুচিত্রা ভট্টাচার্যের এই গভীর উপন্যাসে উন্মোচিত হয়েছে ভিন্ন মেরুর মানুষদের আকর্ষণ-বিকর্ষণের কাহিনী, তাদের বিচিত্র জীবনবৃত্তান্ত।
[Source: Ananda Publishers]
Reviews
There are no reviews yet.