সমস্ত কিছুই শেষ হয়। তাই যুদ্ধও একদিন থামে। আর সেই বিরতির নামই বোধহয় শান্তি। কিন্তু সে-শান্তি শ্মশানের, অবসানের। যতই কেন না বলি, যুদ্ধ প্রমাণ করে শৌর্য-সাহস, স্বদেশানুরাগ, প্রমাণ করে আত্মবলিদান, তবু কে না জানে যুদ্ধের উৎসমূলে আছে হিংসা আর নৃশংসতা, আছে পরস্বলুণ্ঠনের লোভ। তাই দেশের নামে আসে দ্বেষ, বীরত্বের নামে বর্বরতা, আত্মদানের নামে আত্মবিক্রয়। কিন্তু যেদিন যুদ্ধ আর থাকবে না পৃথিবীতে, মখমলের ভণ্ড দস্তানার সঙ্গে সঙ্গে লুকোনো বাঘের নখও যখন চলে যাবে মানুষের থাবা থেকে, তখন মানুষের প্রেম আশ্রয় নেবে দেশে নয়, মানুষে; বীরত্ব বিঘোষিত হবে হত্যায় নয়, আলিঙ্গনে; আত্মদান শুধু আত্মত্রাণের চেহারা হয়ে দাঁড়াবে না। আর, আজকের যুদ্ধবিধ্বস্ত পৃথিবীতে শান্তি যদি কোনও দিন আসেও, সে আসবে স্তব্ধতার মূর্তি নিয়ে। জয় মনে হবে ব্যর্থ, হার মনে হবে অসঙ্গত। এই ব্যর্থতা ও অসঙ্গতির ভয়ংকর কাহিনি এই ‘‘অল্ কোয়ায়েট্ অন্ দি ওয়েষ্টার্ন্ ফ্রন্ট্।’’ বেদনায় বিশ্বজনীনতা আছে বলেই এ বইয়ের আবেদন কখনও কোনও দেশে নিষ্প্রভ হবার নয়।
[Source: Ananda Publishers]
Reviews
There are no reviews yet.