“দ্যাখো, বাড়িটা কেমন দু-হাত বাড়িয়ে আমাদের ডাকছে।’
তারপরেই কানের কাছে ফিসফিস, ‘পালিয়ে যাও, এক্ষুনি পালিয়ে যাও, এই বাড়ি থেকে।’ শুনেই চমকে উঠল সে। কে বলল কথাটা? ঘাড় ঘুরিয়েও কাউকে দেখতে পেল না। কিন্তু টর্চ ফেলার পরে সামনের দৃশ্যটা দেখে অনুভব করল যে ওর পায়ে কোনো জোর নেই। কারিপাতা গাছটার নীচে চার হাতে পায়ে ভর রেখে সে বসে রয়েছে। তাকে দেখেই আকাশের দিকে মুখটা তুলে কেঁদে উঠল, ‘উঁ উঁ উঁ’। ও কে? কে পিছু নিয়েছে? দৌড়োতে দৌড়োতে বাড়ির দিকে গেলেও বুঝতে পারছে যে কেউ একটা ওর পিছু নিয়েছে। পেছন ফিরলেই তার ক্রূর লাল লাল চোখ আর সাদা দাঁতের সারি দেখতে পাবে। তারপর গাছের আড়ালে বাড়িখানা দেখেই ওর বুকের মধ্যে ছ্যাঁত করে উঠল। কেমন একটা থমথমে চেহারা নিয়ে বাড়িটা দাঁড়িয়ে রয়েছে। ওর মধ্যে একবার ঢুকে পড়লে যেন আর বেরিয়ে আসার ক্ষমতা থাকবে না। আর তখনই ডিয়েগো হাঁউমাউ করে বলে উঠল, ‘ওই দরজাটা একদম খুলো না, ফর গড’স সেক।’
বারণ করলেও যদি দরজা খুলে একবার এই বইয়ের কাহিনিগুলোর মধ্যে ঢুকে পড়েন, সত্যি সত্যিই আর বেরিয়ে আসার ক্ষমতা থাকবে না। নিত্যদিনের বসতবাড়ি নিয়েও যে ভয়ের অট্টালিকা তৈরি করা যায়, সেটা সৌমিত্র বিশ্বাস প্রমাণ করলেন এই বইতে। প্রতিটা কাহিনির সঙ্গেই কোনো-না-কোনোভাবে জড়িয়ে রয়েছে একটা বাড়ি। আমি আপনিই সেখানে থাকি। তাও তারা কোথায় আলাদা? সেই উত্তর আপনাকেই খুঁজে বের করতে হবে এই অদ্ভুত বাড়ির বিভিন্ন কক্ষ থেকে কক্ষান্তরে গিয়ে।”
[Source: Book Farm]
Reviews
There are no reviews yet.