মাত্র ন’ বছরের যে বালকটি জীবনে।প্রথম শ্ৰোতৃমণ্ডলীর সামনে কম্পিত হৃদয়ে সেতার বাজিয়ে অভিনন্দন লাভ করেছিল, সতেরো বছর বয়সে সেই মানুষটি এক সংগীত সম্মেলনে(১৯৪৮) সমস্ত হৃদয় উজাড় করে সেতার বাদনে ভারতের দিকপাল সংগীতগুণীদের মুগ্ধ ও বিস্মিত করেছিলেন। এই শিল্পী হলেন নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়। নিখিলের প্রতিষ্ঠা শুরু ১৯৫৬-য় তানসেন সংগীত সম্মেলনে। ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, আলি আকবর ও নিখিলের ত্রয়ী বাদন সংগীত জগতে এক সাড়া জাগানো ঘটনা। এর পর তাঁর জীবনে ঘটেছে ক্রমাগত উত্তরণ। দেশে এবং বিদেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবার বাজনাতেই পরিশীলিত মনন, রাগের অপরূপ উন্মোচন ও পরিশ্রমী দক্ষতায় তিনি নিজের পূর্বের বাজনাকে ছাড়িয়ে গেছেন। ভারতীয় সংগীতের ব্যাপ্তি ও অন্তর্লীন সৌন্দর্যকে তিনি শ্রোতাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। মৃত্যুর পূর্ব দিনেও জীবনের শেষ অনুষ্ঠানে অসুস্থ শরীরে তিনি ডুব দিয়েছিলেন রাগের অন্তঃপুরে—বাজিয়েছিলেন দরবারি কানাড়া আর হেমন্ত। নানা সূত্র থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে স্বপনকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিল্পী জীবনের পূর্ণরূপটি ফুটিয়ে তুলেছেন। পরিশিষ্টে আছে শিল্পীর নিজস্ব লেখা, রেকর্ড ও ক্যাসেটের তালিকা এবং নিজ-সৃষ্ট রাগের পরিচয় ইত্যাদি যাবতীয় তথ্য।
[Source: Ananda Publishers]
Reviews
There are no reviews yet.