শহরের হই হট্টগোল থেকে হাঁপিয়ে উঠে পাঁচ বন্ধু শাক্য, মেঘা, প্রতুল, সুচরিতা আর দেবী ঠিক করল যে কোনো নিরিবিলি জায়গায় গিয়ে দু তিনটে দিন কাটাবে। তাই অনেক ভেবে চিন্তে ওরা ঠিক করল তুতানগড়ে যাবে। এরপর পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্দিষ্ট দিনে ওরা যাত্রা শুরু করল। তারপর হইচই করতে করতেই গিয়ে পৌঁছালো তুতানগড়ে। এবং পৌঁছেই বুঝতে পারল যে জায়গা বাছাই করতে ওদের কোনো ভুল হয়নি। শান্তশিষ্ট তুতানগড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যে একেবারে ফেলনা নয় সেটা ওরা ওখানে পৌঁছেই বুঝতে পারল। এদিকে ওখানে পৌঁছে হোটেলে ওঠার পর ওদের সাথে পরিচয় হল কার্তিকের। কার্তিক গাইডের কাজ করে। তাই ওর সাথেই জায়গাটাকে ঘুরে দেখার পরিকল্পনা করল শাক্য, মেঘা, প্রতুল, সুচরিতা আর দেবী। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ীই ওরা কার্তিকের সাথে গেল যোদ্ধা পাহাড়, সুসান নদী, দু একটা মন্দিরে এবং নিশিমহলে। আর এই নিশিমহলে গিয়েই ওদের সবকিছু ওলটপালট হয়ে গেল। স্বপ্নেও ভাবেনি যাকিছু সব হতে শুরু করল ওদের সাথে। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হল। জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠল ওদের। কিন্তু কেন ? কি ছিল নিশিমহলে ? আসলে নিশিমহলের একটা ইতিহাস আছে। ভয়ঙ্কর ইতিহাস। কিন্তু ওরা পাঁচ বন্ধু কেন জড়িয়ে পড়ল ওই ইতিহাসের সাথে ? কেন মৃত্যুর মুখে গিয়ে দাঁড়ালো ওরা ? কার দোষে হল এইসব ? কেন ওই বাড়ির নাম নিশিমহল ? থান বুড়ি কে ? থান বুড়ি কি আদৌ সাহায্য করতে পারবে ওদের ? নাকি বাঁচার জন্যে ওদের নিজেদেরই লড়তে হবে ? এবং সবথেকে বড়ো প্রশ্ন হল ওরা সবাই কি বাঁচতে পারবে ?
এইসব প্রশ্নের উত্তর পেতে গেলে আপনাদের পড়তে হবে নিশিমহল। আশাকরি একের পর এক চমক, একটা সমস্যা শেষ হতে না হতেই আরেকটা সমস্যার উদ্ভব হওয়া এবং দুরন্ত গতিতে এগিয়ে যাওয়া কাহিনী পাঠকের মনকে আনন্দ দিতে সক্ষম হবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক...
Reviews
There are no reviews yet.