সৈকত মুখোপাধ্যায় যখন কল্পবিজ্ঞানের গল্প লেখেন, তখন বিজ্ঞানের শক্তপোক্ত কাঁধে তিনি জুড়ে দেন কল্পনার বিশাল দুটো ডানা। সঙ্গে থাকে ঝোড়ো হাওয়ার মতন ভাষা। গল্পগুলো তখন পাঠককে উড়িয়ে নিয়ে যায় বর্তমানের চেনা পৃথিবী থেকে অনেক দূরের অচেনা এক দুনিয়ায়। সেই দুনিয়ায় কখনো গন্ধক-বাতাসে শ্বাস নেওয়া একটি কিশোরী চিরকাল তার কৈশোরেই আটকে থাকে, কখনো ভবিষ্যতের এক মহাকাশযানকে ভয়াল মহাশূন্যের পথ নিরাপদে পার করে দেয় দিদিমার রূপকথায় ভরা মগজ। গল্পের পর গল্পে কতরকমের এলিয়েন- অন্য গ্রহের জীব। হাঁসের মতন পায়ের পাতা নিয়ে একদল যখন লুকিয়ে আছে নির্জন পাহাড়ে, আরেকদল ‘শেপ-চেঞ্জার’ তখন মানুষকে হত্যা করছে মানুষেরই রূপ ধরে। আবার কখনো খুদে এলিয়েনরা সাড়া দিচ্ছে ছোট্ট একটা ছেলের ডাকে, সারিয়ে দিচ্ছে তার বোনের অসুখ। ওদের ভীষণ খিদে’, ‘জহ্নু’, ‘মডেল’ চাঁদের খুদে ডাক্তার’ কিংবা ‘মুরাকামির অ্যাশট্রে’র মতন এমনই সুখপাঠ্য এগারোটা গল্প তো রইলই! তার সঙ্গে রইল সেই আশ্চর্য উপন্যাস-‘মাই ডিয়ার মিকি’। শারদীয়া কিশোর ভারতীতে প্রকাশিত হওয়ামাত্র যে উপন্যাস নিয়ে পাঠকমহলে হইচই পড়ে গিয়েছিল।
[Source: Patra Bharati]
Reviews
There are no reviews yet.