সবকিছু হারানোই যার স্বভাব, সেই হারানচন্দ্রের তিনশো বাইশ নম্বর ঘড়িটা যখন চুরি গেল, আর তার বদলে এল তিনশো তেইশ নম্বর, তখন থেকেই ‘ভুতুড়ে ঘড়ি’র অদ্ভুতুড়ে কীর্তিকাণ্ড। নইলে ঘড়ির মধ্যে কেন শোনা যাবে নেশা-ধরানো গান আর হাসি? কেন এক অশরীরী স্বর বেসুরো গলায় বলে উঠবে, নানটাং, রিকিরিকি, খ্রাচ খ্রাচ? কেন খিলখিল হেসে মিষ্টি সুরেলা গলায় বলবে একটা মেয়ে, র্যাডিকালি, রামরাহা, বুতবুত? কেন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে থাকবে জটাইতান্ত্রিক, গর্ডনসাহেব আর তার কুকুরগুলো? কেন এ ঘড়ি বাড়িতে ঢোকানোর পর অন্য ঘড়িগুলোর কাঁটা ঘুরবে উল্টোমুখী? কেনই-বা ছবি উঠবে না ক্যামেরায়, কিংবা ঘটে চলবে এমনতর হাজারো কাণ্ডকারখানা? কাণ্ডকারখানা ভৌতিক, কিন্তু সবটাই ভুতুড়ে ব্যাপার নয়। মজার সঙ্গে সাসপেন্স, সাসপেন্সের সঙ্গে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা, বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার সঙ্গে সত্যি ভূতের মিশেলে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের কলমে এ-এক দুর্দান্ত আর অদ্ভুতুড়ে কল্পবিজ্ঞানকাহিনী। যাকে বলে একেবারে হইহই রইরই উপন্যাস।
[Source: Ananda Publishers]
Reviews
There are no reviews yet.